হযরত আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ননা করেন- তিনি বলেন-
‘যে ব্যক্তি মসজিদে যায়, আর তার উদ্দেশ্য কেবল কোন ভালো কথা (অর্থাৎ, দ্বীনের কথা) শেখা বা শেখানো হয়, সে পূর্ণ হজ্জকারীর সওয়াব পায়।’ (তাবরানী)
ফায়দা: এ হাদীস দ্বারা জানা গেলো যে, মসজিদ যেমন নামাযের জন্য, তেমন ইলমে দ্বীন শেখা ও শেখানোর জন্যও। তাই মসজিদে এমন লোক থাকা উচিত, যে দ্বীনের কথা শিক্ষা দিবে। এ হাদীসগুলো তারগীব কিতাব থেকে সংগৃহীত। দু’টি হাদীস ছাড়া, সে দু’টিতে মেশকাত ও জামউল ফাওয়াইদের নাম লিখে দিয়েছি।
করণীয়: উপরোক্ত আয়াত ও হাদীসসমূহ দ্বারা যে সমস্ত করণীয় প্রমাণিত হয়েছে, সেগুলো এই-
ক. প্রত্যেক ছোট-বড় জনবসতিতে সেখানকার প্রয়োজন অনুপাতে মসজিদ বানানো উচিত।
খ. মসজিদ হালাল মাল দ্বারা এবং হালাল জমিনে হতে হবে।
গ. মসজিদের আদব রক্ষা করবে। অর্থাৎ, পাক-পবিত্র ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে, ঝাড়ু দিবে, তার প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। দুর্গন্ধময় বস্ত্ত যেমন তামাক ইত্যাদি খেয়ে বা নিয়ে মসজিদে যাবে না। সেখানে দুনিয়ার কোন কাজ করবে না বা কথা বলবে না।
ঘ. পুরুষদের জন্য মসজিদে নামায পড়া উচিত। মারাত্মক সমস্যা ছাড়া জামাআত ত্যাগ করা উচিত নয়। মসজিদে এবং জামাআতে নামায পড়ার একটি ফায়দা এও রয়েছে যে, পরস্পরে সম্পর্ক মজবুত হয়। পরস্পরের অবস্থা জানা থাকে, ‘মুয়াত্তায়ে মালেক’ কিতাবের নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারাও একথা প্রমাণিত হয়।
একবার হযরত উমর (রাযিঃ) সুলায়মান বিন আবু খায়সামাকে ফজরের নামাযে পেলেন না। হযরত উমর (রাযিঃ) বাজারে গমন করলেন। সুলায়মানের বাড়ী ছিলো মসজিদ ও বাজারের মাঝে। তিনি সুলায়মানের মাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আমি সুলায়মানকে ফজর নামাযে দেখলাম না…’ এ হাদীসের ব্যাখ্যায় উলামায়ে কেরাম এ ফায়দাটিও উল্লেখ করেছেন।
ঙ. মসজিদে এমন ব্যক্তিকে (ইমাম বা শিক্ষক হিসেবে) রাখবে, যে সেখানকার অধিবাসীদেরকে মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা দিবে।
চ. অবসর পেলে মসজিদে গিয়ে বসে থাকবে। সেখানে দ্বীনের কাজ বা কথায় লিপ্ত থাকবে। সমস্ত মানুষ যদি নিয়মিতভাবে এর উপর আমল করে তাহলে সওয়াব ছাড়াও জামাআতও বড় হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিভিন্ন হাদীসে পরিষ্কারভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, মহিলাদের জন্য ঘরে নামায পড়া মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে অধিক সওয়াব।
very good place, add a phone and some photos-------+
a mosque of shiromoni named shiromoni bazar jame mosque