Overview

welcoмe тo Nawabganj υpozιla page.ιт ιѕ creaтe only aвoυт oғ Nawabganj

Tags

  • City

Description

দিনাজপুর জেলা সদর থেকে পূবর্ব দিক্ষন দিকে প্রায় ৬৯ কি:মি: বা ৪৩ মাইল দূরে নবাবগঞ্জ উপজেলার অবস্থান।উত্তর দিক থেকে আগত করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এ উপজেলা বাংলার প্রাচীন জনপদ গুলোর একটি।২৫.১৫ থেকে ২৫.৩৫ ডিগ্রি অক্ষাংশে এবং ৮৯.০০ থেকে ৮৯.১৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এ উপজেলা অবস্থিত। এর উত্তর পশ্চিম দিকে জেলার পার্বতীপুর, দক্ষিনে হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট, পশ্চিমে বিরামপুর ও ফুলবাড়ী এবং উত্তরে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ ,মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলা। উল্লেখিত উপজেলাগুলোর মাঝের ভূ-খন্ডই নবাবগঞ্জ উপজেলা।
উপজেলার নামকরণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :

মোগল রাজত্বের শেষের দিকে নবাবী আমলের সূচনা হয়। তখন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার পশ্চিম দিকে ঘুলচৌইক নামে একটি বিখ্যাত নগর ছিল।সেখানে মোগল বংশের কিছু লোকের বাস ছিল। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদ-দৌলার বিপর্যয়ের পর মোগলদের উপর নেমে আসে চরম দূর্দিন। ১৭৬০ সালে মীর জাফরের রাজত্বকালে একটি ভয়াবহ যুদ্ধ হয় ফুলচৌকি নগরের পশ্চিমে মাসিমপুর নামক জায়গায়। ঐ সময়ে মীর কাসিম ও ইংরেজদের একটি দূর্গ ছিল নবাবগঞ্জের বামনগড় নামক মৌজায়।সেখান থেকে তারা মাসিমপুরের যুদ্ধে দেবী চৌধুরাণীর বিরুদ্ধে শক্তির মহড়া প্রদর্শন করছিলেন। যুদ্ধে ইংরেজ ও মীর জাফরের বাহিনী পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায়।যে স্থানে দেবী চৌধুরাণীর বিজয় সূচিত হয়, তা জয়পুর নামে খ্যাত। ১৭৬০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির এই যুদ্ধ ইতিহাসে ‍‍‘ব্যাটল অব মাসিমপুর’ নামে অভিহীত। এই যুদ্ধে ফুলচৌকি নগরে মোগল বংশীয় লোকেরা ইংরেজদের বিরোধীতা করে দেবী চৌধুরাণীর পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন। ১৭৭০ সালে মহা দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ইংরেজ মদদ পুষ্ট আমলারা রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য দিনাজপুরে একুশ প্রকার অর আরোপ করেন। প্রত্যক্ষ করভার সইতে না পেরে শুরু হয় প্রজা বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন ফুলচৌকির মোগল বংশীয় সিংহ পুরুষ নূর উদ্দিন বাকের মোহাম্মদ জং। দিনাজপুর ও রংপুরের প্রজারা সম্মিলিত ভাবে তাকে নবাব হিসেবে বরণ করে নেয়।ঐ সময় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জসহ অনেক এলাকা নবাব নূর উদ্দিন বাকের মোহাম্মদ জং এর নিয়ন্ত্রণে ছিল।তিনি নবাবগঞ্জের তর্পনঘাট হিন্দু ধর্মের তীর্থ স্থান ও আশে পাশে ঘোড়ায় চড়ে নবাবগঞ্জ যাতায়াত করতেন।১৭৫৭ সালে ইংরেজদের সাথে যুদ্ধে নবাব নূর উদ্দিন বাকের মোহাম্মদ জং শহীদ হলে তার অনুসারীরা নবাবের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য তর্পনঘাটের পশ্চিমে পারাপারের স্থানের নাম রাখেন নবাবগঞ্জ।

আরো শুনা যায়-ঢাকার নবাব আব্দুল গণি অবসর যাপনের উদ্দ্যেশে প্রায় এই এলাকায় আগমন করেতন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় একটি ব্যবসা কেন্দ্রের সূচনা ঘটে। কাল ক্রমে স্থানটি নবাবগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে।

Location

0 Reviews

No reviews yet. Be the first to add a review.

Rate & Write Reviews